ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ কর্মকর্তা এখন গ্যাং লিডার

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ১৮-০৩-২০২৪ ০১:৪৬:০৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৮-০৩-২০২৪ ০১:৪৬:০৩ অপরাহ্ন
পুলিশ কর্মকর্তা এখন গ্যাং লিডার ফাইল ছবি
হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতা বেড়েই চলছে। এর পছনে কাজ করছেন হাইতির গ্যাং লিডার জিমি 'বারবিকিউ' চেরিজিয়র।

পুলিশের এই সাবেক কর্মকর্তার 'জি৯ ফ্যামিলি অ্যান্ড অ্যালাইস' নামের একটি সন্ত্রাসী জোট রয়েছে। পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন এই গ্যাংয়ে হাতে।

অতিসম্প্রতি হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নতুন করে শুরু হওয়া ব্যাপক সহিংসতার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তি হিসেবেও উঠে এসেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের নিষেধাজ্ঞায় থাকা জিমি চেরিজিয়েরের নাম। হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।

হানাহানি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে প্রধানমন্ত্রী হেনরি চলতি সপ্তাহে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন। তবে তার এ ঘোষণা গ্যাং সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ থেকে রাজধানীকে উদ্ধারে তেমন কাজে আসেনি।

হাইতির ব্যাপারে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপও নাকচ করে দিয়েছেন চেরিজিয়ের। এর মধ্যে রয়েছে দেশটিতে গ্যাং সহিংসতা মোকাবিলায় সহায়তা করতে জাতিসংঘ-সমর্থিত ও কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়ও।

হাইতির জাতীয় পুলিশ বাহিনীর (এইচএনপি) একজন সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন চেরিজিয়ের। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

হাইতিতে ২০২১ সালে নিহত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস। এরপরই রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সজুড়ে দেখা দেয় সহিংসতা। আর তাতে জড়িত ছিল চেরিজিয়েরের জি৯ গ্যাং জোট।

হাইতিতে গত কয়েক বছর ধরে চলা সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক ও বারবার দেখা দেওয়া সমস্যাগুলোর একটি তীব্র জ্বালানি ঘাটতি। এর পেছনে চেরিজিয়েরের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী গ্যাং জোটকে দায়ী করেছেন জাতিসংঘ।

চেরিজিয়ের নিজেকে একজন বিপ্লবী হিসেবে উপস্থাপন করেন; যিনি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করা অভিজাত সম্প্রদায় ও অসম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জিমি বলেন, 'আমরা অন্য এক সমাজ, অন্য এক হাইতির জন্য লড়াই করছি; যেখানে মাত্র ৫ শতাংশ লোকের হাতে সব সম্পদ থাকবে না। বরং নতুন এই হাইতিতে সব মানুষ খাবার ও সুপেয় পানি পাবেন, বসবাস করার জন্য তাদের থাকবে সুন্দর বাড়ি। এটি হবে ভিন্ন এক হাইতি; যেখানে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে না আমাদের।'

চেরিজিয়েরের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ সেই তখন থেকেই, যখন তিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্য ছিলেন। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ২০১৮ সালে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উপকণ্ঠে লা স্যালিন এলাকায় হামলা-সহিংসতায় কয়েক ডজন মানুষ মারা যান। চেরিজিয়ের তাতে যুক্ত ছিলেন। সে সময় হাইতির জাতীয় পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।

এছাড়া ২০১৭ সালে পোর্ট-অ-প্রিন্সের গ্র্যান্ড র‍েভাইন এলাকায় পুলিশের এক অভিযানে বেসামরিক লোকজনকে মেরে ফেলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে চেরিজিয়েরের বিরুদ্ধে। এরপর ২০১৮ সালের শেষ দিকে পুলিশ বাহিনী থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর কয়েক মাস পর তার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। ২০২১ সালে আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, 'আমি কোনো গ্যাংস্টার নই। আমি কখনোই তা হবো না। আমি এখনকার শাসকদের বিরুদ্ধে লড়ছি। তাদের হাতে অনেক অর্থ। তাদের আছে মিডিয়া। তারা আমাকে গ্যাংস্টারের মতো করে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।'

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ